জনসভা থেকে জলোচ্ছ্বাসদুর্গত মানুষের কাছে ছুটে গিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৫৪ থেকে ১৯৭৩ পর্যন্ত ৭ বার পিরোজপুরে রাজনৈতিক কর্মসূচিতে যোগ দিতে এলেও নিভৃত পল্লী মাটিভাঙ্গার বিশাল জনসভার খবরটি অনেকটাই স্মৃতির আড়ালে চলে গেছে। ১৯৭০ সালের ১৪ নভেম্বর সে সময়ের পিরোজপুর মহাকুমার নাজিরপুর থানার মাটিভাঙ্গা কলেজ মাঠে আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক বিশাল নির্বাচনী জনসভায় বঙ্গবন্ধু প্রধান অতিথির ভাষণ দিয়েছিলেন।
বঙ্গবন্ধুর টুঙ্গিপাড়ার বাড়ি থেকে অনতি দূরে মধুমতি নদীর দক্ষিণ তীরে অবস্থিত এই কলেজের মাঠে সেদিন তিল ধারণের ঠাঁই ছিল না। সে অঞ্চলে তখন রাস্তা ঘাট না থাকলেও পায়ে হেঁটে নৌকায় চড়ে লাখো জনতা জনসভা স্থলে উপস্থিত হয়েছিল। মাটিভাঙ্গা অঞ্চলের নারীরা ইতিপূর্বে কোন রাজনৈতিক সভায় না গেলেও সেদিন হাজার হাজার নারী তাদের প্রাণপ্রিয় নেতাকে এক নজর দেখার জন্য জনসভা মাঠে উপস্থিত হয়েছেন।
বঙ্গবন্ধু বাড়ি থেকে স্পীড বোটে চড়ে মধুমতি নদী পাড়ি দিয়ে বলেশ্বর নদের কলেজ ঘাটে নেমে সফর সঙ্গীদের নিয়ে জনসভার মঞ্চে আরোহন করেন। এ সময় জনতা জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু গগণ বিদারী স্লোগানে সমগ্র এলাকা মুখরিত করে তোলে। নাজিরপুর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি নুর মোহাম্মদ ফরাজীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ জনসভায় নাজিরপুর-স্বরূপকাঠী-বানারিপাড়া থানা নিয়ে গঠিত পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের এ আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী শেরে বাংলার পুত্র একে ফয়জুল হক, নাজিরপুর-বানারিপাড়া থানা নির্বাচনী এলাকার প্রাদেশিক পরিষদ প্রার্থী ডা. ক্ষীতিশ চন্দ্র মন্ডল, পিরোজপুর মহাকুমা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং পিরোজপুর কাউখালী-ভান্ডারিয়া-কাঠালিয়া আসনের জাতীয় পরিষদ প্রার্থী এ্যাডভোকেট এনায়েত হোসেন খান নাজিরপুর থানা আওয়ামী লীগের সম্পাদক নিখিল রঞ্জন হালদার এবং বঙ্গবন্ধুর সফর সঙ্গীদের মধ্য হতে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতা কাজী নুর উদ্দিন বক্তব্য রাখেন।
No comments:
Post a Comment