Tuesday, November 15, 2016

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সম্পর্কে সুর বদলালেন ওবামা




মা আগে বলতেন, এমন একটা বদমেজাজি লোক কোনো ভাবেই দেশের প্রেসিডেন্ট হওয়ার যোগ্য নয়। আর এখন বলছেন, হোয়াইট হাউসে গেলেই মেজাজ ঠিক হয়ে যাবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের।

ক্ষমতা হস্তান্তর নিয়ে ‘প্রেসিডেন্ট ইলেক্ট’-এর সঙ্গে গত বৃহস্পতিবারই ওভাল অফিসে বৈঠক করেছিলেন বিদায়ী প্রেসি়ডেন্ট বারাক ওবামা। তারপর এই প্রথম সাংবাদিকদের মুখোমুখি হলেন বিদায়ী প্রেসিডেন্ট। বললেন, ‘‘আপনারা তাকে একটা সুযোগ দিন। হোয়াইট হাউসের মধ্যেই মানুষকে জাগিয়ে তোলার একটা ক্ষমতা আছে। তাই আমার বিশ্বাস, পদমর্যাদা, দায়িত্ব আর বাস্তবের মুখোমুখি হলে নিয়ন্ত্রণে আসবে মেজাজও।’’ সবটাই ট্রাম্পকে উদ্দেশ্য করে বলা। ইঙ্গিত রয়েছে সমালোচনারও। তবু ওবামার সতর্ক শব্দ বাছাইয়ের অন্য মানে করছেন মার্কিন কূটনীতিকদের একাংশ। তাঁদের মতে, এ যেন ছোট ভাইকে সবটা বুঝিয়ে দিয়েই রিটায়ার করছেন বড়দা।

বড়দাই তো! প্রথম বার প্রেসি়ডেন্ট নির্বাচিত হয়ে, বুশ জমানা শেষ করে ২০০৯-এর ২০ জানুয়ারি হোয়াইট হাউসে এসেছিলেন বারাক ওবামা। চার বছর পরে রিপাবলিকান পদপ্রার্থী মিট রোমনিকে হারিয়ে আর এক বার। এ বার যাওয়ার পালা। ২০১৭-র ২০ জানুয়ারি ওভাল অফিসে পা রাখছেন ট্রাম্প। হোয়াইট হাউসের পুরনো চেয়ারে নতুন প্রেসিডেন্ট।

ভারতে বিপক্ষে পাকিস্তানের হয়ে মাঠে নেমেছিলেন শচীন



ভারতের হয়ে ১৯৮৯ সালে শচীন টেন্ডুলকারের অভিষেক হয়। করাচির ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্টে ভারতের হয়ে প্রথমবার খেলতে নামেন তিনি। তবে কি জানেন, এই ক্রিকেট ঈশ্বর ভারতের বিপক্ষেই প্রথমে মাঠে নেমেছিলেন পাকিস্তান দলের হয়ে। 

সেই সত্যকে মনে করিয়েছেন শচীন নিজেই। নিজের আত্মজীবনী 'Playing It My Way' তে তিনি জানিয়েছেন সেই দিনের কথা। ১৯৮৭ সালে পাকিস্তান দল খেলতে এসেছিল ভারতে।  তখন শচীনের বয়স মাত্র ১৪ বছর। মুম্বইয়ে ভারতের বিরুদ্ধে একটি প্রীতি ম্যাচ খেলছিল পাকিস্তান দল। জাভেদ মিয়াঁদাদ ও আবদুল কাদির লাঞ্চের সময় মাঠ ছেড়ে উঠে যান। পাকিস্তান অধিনায়ক ইমরান খান তখন শচীনকে ফিল্ডিং করতে নামিয়েছিলেন। 

নিজের আত্মজীবনীতে শচীন জানিয়েছেন, আমি জানি না ইমরান খানের এইকথা মনে রয়েছে কিনা। তবে আমি পাকিস্তানের হয়ে ফিল্ডিং করেছি। জাভেদ মিয়াঁদাদ ও আব্দুল কাদির মধ্যাহ্নভোজনের বিরতির পরপর মাঠ ছেড়ে বেরিয়ে গেলে অতিরিক্ত ফিল্ডার হিসাবে আমি পাকিস্তানের হয়ে সেদিন ফিল্ডিং করেছি। সেদিন পাকিস্তানের হয়ে এই দুই ক্রিকেটার মাঠ থেকে বেরিয়ে গেলে স্থানীয় দুই ক্রিকেটারকে ফিল্ডিংয়ের জন্য বেছে নেয়া হয়। তাদেরই একজন ছিলেন শচীন। 

তিনি আরও জানিয়েছেন, কীভাবে একটুর জন্য কপিল দেবের ক্যাচ হাতছাড়া হয়েছিল তাঁর। শচীনের কথায়, সেদিন আমাকে ইমরান খান লং অনে ফিল্ডিং করতে পাঠায়। সেই ম্যাচে কপিলের ক্যাচ ওঠায় অনেকটা ছুটে গিয়েও আমি তা ধরতে পারিনি। আমাকে মিড অনে দাঁড় করালে সহজেই ক্যাচটা নিতে পারতাম আমি। তবে দূরে ফিল্ডিং করায় ক্যাচ ধরা সম্ভব হয়নি। 

২৪ বছর ধরে ভারতীয় ক্রিকেটকে নিজের কাঁধে টেনে নিয়ে গিয়েছেন মুম্বইয়ের বাসিন্দা এই লিটল মাস্টার। শুধু ভারতীয় ক্রিকেট কেন, সারা বিশ্ব ক্রিকেটকে নিজের ব্যাটিং ও ব্যক্তিত্ব দিয়ে মোহিত করেছেন শচীন। 

News Update Covid-19